চরভদ্রাসনে পদ্মায় অবৈধ বাঁধ; হুমকির মুখে মৎসকুল
নাজমুল হামান নিরব,চরভদ্রাসন(ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের পদ্মা নদী অর্ন্তভুক্ত এলাকায় অবৈধ বাশের বাধঁ দিয়ে মাছ শিকার করে চলেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। গত ১৫ দিন ধরে অবৈধভাবে এ বাধঁ দিয়ে মাছ শিকার করলেও প্রশাসনের নজরে তা এখনও পড়েনি।
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার গোপালপুর টু মৈনট ঘাটে যাওয়ার সময় নদীতে প্রায় দুইহাজার মিটার পর্যন্ত আড়াআড়ি ভাবে কয়েক হাজার বাঁশ পুঁতে অবৈধ বাধঁ দেয়া হয়েছে। নদীর মূল প্রবাহে আড়াআড়িভাবে তৈরি করা বাঁেশর বাধেঁর সঙ্গে জাল দিয়ে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে মাছ শিকার চলছে। বাধেঁর কারনে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ, মাছের অবাধ বিচরন ও নৌ- চলাচল মারাত্বকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন অবৈধ বাধেঁ জাটকা ইলিশ, রুই, কাতল, চিতল, পাঙ্গাস, বোয়ালসহ জাটকা ইলিশ ধরা পড়ছে।এসময় বাধেঁ অবস্থানরত জেলোরা পালিয়ে যেতে থাকে।
বাধঁ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে, উক্ত বাধেঁর মালিক কাসেম মেম্বার বলেন, আমরা বাধঁটি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই দিয়েছি। দ্রæত বাঁধটি সরিয়ে ফেলব বলে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের খবর প্রকাশ করতে বারন করেন।
বাধেঁর বিষয়ে জানতে চাইলে চরঝাউাকন্দা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফরহাদ মৃধা বলেন, পদ্মায় অবৈধ বাধঁ দিয়ে মাছ ধরার বিষয়টি আমি শুনেছি।তবে কে বা কারা করেছে তা এখনও জানিনা। আমি অবৈধ বাধেঁর বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মালিক তানভির হোসেন জানান, নদীতে এভাবে অবৈধভাবে বাধঁ দেওয়ার কোন সুযোগ ইেন।১৯৫০ মৎস্য সংরক্ষন আইন অনুযায়ী নদীতে আড়াআড়িভাবে বাধঁ দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধঁ। আমরা অতি শিঘ্রই তদন্ত করে দুই,একদিনের মধ্যে বাধঁটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা জেসমিন সুলতানা জানান, বাধঁটির বিষয়টি আমি আজকেই জানলাম। আমি এ বিষয়ে মৎস্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। অতি শীঘ্রই আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বাধেঁর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।